ই-সেবা

পছন্দের কিছু লিংক

গুরুত্বপূর্ণ সরকারি লিংকসমূহ

 
 
 
কৃষি উদ্যোগ
আউশ ধান চাষ করে মাত্র ৯০ দিনে দেশে ১ কোটি টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদন সম্ভব

মাগুরায় স্বল্প মেয়াদে আউশ ধান চাষ করে মাত্র ৯০ দিনে দেশে ১ কোটি টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদন সম্ভব
এপ্রিল-মে মাসের প্রথম দিকে বোরো ধান কাটার সাথে সাথে বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে যদি সল্প মেয়াদী আউস ধানের চাষ করা যায় তাহলে এই সময়ে দেশে ৩৫ লাখ হেক্টর জমিতে ১ কোটি মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদন করা সম্ভব। 
এতে দেশের পরিবেশ ভারসম্যে রক্ষার পাশপাশি খাদ্য নিরাপত্তা বাড়বে। রবিবার বিকালে মাগুরার আলমখালি গ্রামে কৃষক করিদুল ইসলামের জমিতে লাগানো সল্প মেয়াদি আউস ধানের একটি প্লট পরিদর্শন শেষে ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টটিউট (ইরি) এর কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
প্লট পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন- ইরির কলসালটেন্ট ড. এমজি নিয়োগী, যশোর অঞ্চলের এ্যগরিকালচার ডেভোলফমেন্ট অফিসার মুজিবুর রহমান, ইরির মাগুরা জেলা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
ইরির কর্মকর্তরা জানান, সাষ্টেনেবল রাইস সিড প্রোডাকশন এ্যন্ড ডিসিমেনেশন ইন সাউদার্ন পার্ট অব বাংলাদেশ (এসআরএসপিডিএস) প্রকল্পের আওতায় মাগুরাসহ দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টটিউট(ইরি) আউস মৌসুমে সল্প মেয়াদি ধানের জাত নিয়ে কৃষকদের সাথে কাজ করছে।
তাদের দেয়া তথ্য, মতে এতদনি পর্যন্ত দেশে স্বল্প মেয়াদী আউশ ধানের ভাল জাত ছিল না। বর্তমানে দেশে বিরি ধান ২৭, ৪৮, ৫৬,৫৭, বিনা-৮, আই আর-৬৪-সাব-১, চেহেরাং সাব-২, পারিজা, সি আর ধান-৪০ সহ বেশ কয়েকটি স্বল্পমেয়াদী ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এ জাতের ধানগুলো একদিকে যেমন খরা সহিষ্ণু। তেমনি অন্যান্য জাতের তুলনায় বড় হওয়ায় সহজে বন্যায় ডোবে না। এমনকি একটানা ২ সপ্তাহ বন্যার পানিতে ডুবে থাকলেও ধান নষ্ট হয় না। এছাড়া এসব জাতের ধানে ভূ গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে সেচের প্রয়োজন হয়না। বৃষ্টির পানিতেই আউশ মৌসুমে ধান লাগিয়ে ৯০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ভাবে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারবে। এতে কৃষকরা হেক্টরপ্রতি ৩ থেকে সাড়ে তিন টন পর্যন্ত ফলন ফলন পাবে। এ ছাড়া কৃষকরা নিজেরাই এ ধান, বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করে আউস চাষের মৌসুমে জমিতে লাগাতে পারবে।